করোনা: গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ২৩ ও আক্রান্ত ১৩০৮ জন

15

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ১ হাজার ৩০৮ জন।

রোববার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৩০৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৫ জন হল। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৮০৩ জনে দাঁড়াল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৫৪৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন হয়েছে।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬০ বছরের ওপরে ১৬ জন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিবেচনায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকালের তুলনায় আজ নতুন রোগী, পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার, মৃত্যু— সবই বেড়েছে। গতকাল নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জনের। ১০ হাজার ৯৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সোয়া ৪ কোটি ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১১ লাখের ঘরে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে অষ্টাদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।