রাতের আকাশে দেখা মিলবে ব্লু মুনের। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লু মুন কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়া আর কিছু নয়। তবে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এ চাঁদের।
পূর্ণিমা। ৩১ অক্টোবর ফের পূর্ণিমা পড়েছে। তাই এই সুযোগ মিলতে চলেছে।
ব্লু মুন সাধারণত কোনো মৌসুমের তৃতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয়। বসন্ত, গ্রীষ্ম, হেমন্ত ও শীতের মৌশুমের তৃতীয় পূর্ণিমা হল ব্লু মুন। নামে নীল চাঁদ হলেও, আদপে তা পুরোপুরি নীল হয় না। তাহলে কেন এটিকে ব্লু মুন বলে ডাকা হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
কথায় বলে ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন। অনেকটা এই শব্দবন্ধগুলো থেকেই নেওয়া ব্লু মুন নামটি।
নাসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮৮৩ সালে ইন্দোনেশিয়ান আগ্নেয়গিরি ক্রাকাতোয়ায় ভয়াবহ উদগীরণ হয়। প্রচুর পরিমাণে কালো ছাই বাতাসে জমা হয়। আকাশ কালো হয়ে যায়। এর মধ্যে দিয়ে চাঁদের আলো পড়ে গোটা চাঁদটিকে নীল রংয়ের দেখাচ্ছিল। সেখান থেকে ব্লু মুন কনসেপ্টের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।
সাধারণত ব্লু মুন মানেই নীল রংয়ের চাঁদ নয়। অনেক সময় মাসে ৩০ দিন থাকলে ব্লু মুন দেখা যায়। শেষবার ব্লু মুন দেখা গেছে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি। ফের ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর মিলছে সুযোগ। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে, অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। আর যদি আজকের আকাশে এই ব্লু মুন দেখতে চান তাহলে চাঁদের দিকে নজর রাখতে হবে রাত ৮টা ৪৯ মিনিটের দিকে।