পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন মুরাদ হাসান

16

স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হওয়া জিডির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের অনুমতি পেলে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানান মুরাদের বিরুদ্ধে হওয়া জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব আহমেদ।

তিনি বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী যে জিডি করেছেন অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা আদালতের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারব না। আদালতের অনুমতি পেলে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

ডা. মুরাদের স্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তার স্ত্রীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এছাড়া বাসার দারোয়ানের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। তার স্ত্রীর নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। এছাড়া বাসার আশপাশে আমাদের টহল টিমের আনাগোনাও আগের থেকে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিকটিমকে আশ্বস্ত করতে এবং তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই টহল বাড়ানো হয়েছে।

জিডির তদন্ত ও ডা. মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু তার অভিযোগটি অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে, সেহেতু আদালতের অনুমতির অপেক্ষা করতে হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এ বিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনে ডা. মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারব। শনিবার এই বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।

এর আগে, গেল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ডা. মুরাদ স্ত্রী-সন্তানদের গালিগালাজ করে মারধর করতে গেলে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চান। অভিযোগ পেয়ে ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের বাসায় গেলে মুরাদ বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী।

উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বিতর্কের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।