আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধের উত্তাপ বড় শহরে

16

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের উত্তাপ বড় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আসছে দিনগুলোতে তা আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার বিকেলে থেকে আজারবাইজানের বড় শহরগুলোতে হামলা শুরু করে আর্মেনিয়া। রবিবার তারা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম গানজা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

আর্মেনিয়ার দখলে থাকা আজেরি ভূখণ্ড নাগরনো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টে হামলা জোরদার করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। হামলায় শহরটি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিম আজারবাইজানের ৩ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দার শহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার একটি বিমানবন্দর ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে আর্মেনিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

ডন জানায়, দুপক্ষই বেসামরিক জনগণ এবং স্থাপনায় হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।

ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলাসহ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আজারবাইজান। গত ২৭ বছর ধরে এসব এলাকা আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছিল।

আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতিতে ‘রাজি’ বলে জানিয়েছে। দখলকৃত আজেরি ভূখণ্ড থেকে আর্মেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ঘোষণা করলে তারাও যুদ্ধবিরতিতে রাজি বলে জানিয়েছে আজারবাইজান।

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে।

নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গত জুলাইয়ে সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে আজারবাইজানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাও ছিলেন। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।