চলমান করোনা মহামারির সময়ে পার হওয়া মাসগুলোতে ভিয়েতনামে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশটির সরকার সামাজিক দূরত্ব বিধি জোরদার করার ফলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে দেশটির কৃষি খাদ্যপণ্য খাতে।
এমন তথ্য উঠে এসেছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল নেটওয়ার্ক প্রতিবেদনে।
ইউএসডিএ জানায়, লকডাউনের কারণে আন্তঃপ্রদেশীয় চলাচলে বিধিনিষেধ করেছে। ফলে বাণিজ্যিক যোগাযোগে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পরিবহন বিলম্বের কারণে কৃষিপণ্যগুলো যথাযথ সময়ে খামার থেকে বাজারে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি কৃষকদের পণ্য বিক্রিকে আরো কঠিন করে তুলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি প্রদেশেই হোটেল ও খাদ্যসেবা খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান চালু আছে সেগুলোর কার্যক্রমও চলছে ঢিমেতালে। ফলে এসব প্রদেশে কমে গেছে শূকর ও হাঁস-মুরগির মাংসের চাহিদা। গবাদি পশু খাতে খাদ্যপণ্যের চাহিদা কমেছে। ফলে শ্লথ হয়ে পড়েছে পশুখাদ্য উৎপাদন কর্মকাণ্ড।
ইউএসডিএ চলতি ও আগামী বছরের জন্য গবাদি পশু খাদ্য চাহিদার পূর্বাভাস কমিয়ে এনেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলতি বছর চাহিদা ২ কোটি ৬২ লাখ এবং আগামী বছর ২ কোটি ৭৫ লাখ টনে দাঁড়াবে। পাশাপাশি ভিয়েতনামে ভুট্টা ব্যবহারের পূর্বাভাসও কমানো হয়েছে। ব্যবহারের পরিমাণ দেড় লাখ টন কমে ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টনে নেমে আসতে পারে বলেও জানায়।